ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ভায়রার টেঁটায় বিদ্ধ হওয়ার চার দিন পর রাকিব শিকদার (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার বাবা মকদুম শিকদার বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নিহত রাকিবের বাড়ি সদর ইউনিয়নের এমপি ডাঙ্গী গ্রামে।ছয় ভাই বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। পরিবারের অভিযোগ, ভায়রা আক্তারের টেঁটাতে বিদ্ধ হয়েছিলেন রাকিব। তবে আক্তারের এক প্রতিবেশী বলেন, এলাকার লোকদের হুমকি-ধামকি দেওয়ায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিরামপুর ইউনিয়নের আমিন খার ডাঙ্গী নিবাসী শেখ আনিসের ছেলে আক্তার শেখের সঙ্গে রাকিবের পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।আক্তার ও রাকিব সম্পর্কে ভায়রা ভাই। প্রায়শই তারে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাকিব অপর দুই ভাই রিয়াজুল ও সাকিবকে নিয়ে আক্তারের বাড়ি যান। ফেরার পথে ওই গ্রামের বাসিন্দা নেপাল বিশ্বাসের ছেলে জিয়া বিশ্বাসসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে খেয়া ঘাটে এসে রাকিবদের ওপর হামলা করেন।এসময় রিয়াজুলের মাথা ফেটে যায় এবং রাকিব টেঁটা বিদ্ধ হন। রাকিবকে প্রথমে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় এবং অপারেশন করা হয়। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পর থেকে আক্তারের পরিবারের লোকজন পলাতক এবং জিয়ার মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।তবে এক প্রতিবেশী বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর রাত নয়টার দিকে রাকিবসহ পাঁচ ছয়জন এসে আক্তারের পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন। পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে তারা চলে যান। পর দিন সোমবার সকালে আবার তারা আক্তারের বাড়িতে আসেন এবং পরিবারের লোকজনকে মারধর করে আহত করেন। ফিরে যাওয়ার সময় তারা ওই এলাকার যাকে সামনে পাচ্ছিলেন তাকেই হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এ ঘটনার জেরে এলাকাবাসী তাদের ওপর হামলা চালায়।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গাফফার জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। রাকিবের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version