আগেই জানা গিয়েছিল ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে এই ফরম্যাটকে বিদায় জানাবেন দেশসেরা ফিনিশার ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণা দিলেন তিনি।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিল্লিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে এই ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ।
মূলত, বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলটি আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সাজাতে চাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে বয়সের দিক বিবেচনায় বিসিবির পরিকল্পনা নিই মাহমুদউল্লাহ। তাই ভারত সিরিজকে কাজে লাগিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফরম্যাট থেকে বিদায় নিলেন তিনি।
এর আগে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তুমুল আলোচিত সেই অবসর। কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়ায়, হারারে টেস্টের মাঝপথে মাহমুদউল্লাহকে সতীর্থদের গার্ড অব অনার দিতে দেখে সবাই অবাক হয়েছিলেন। এরপর অনেক দিন মাহমুদউল্লাহ কিছু বলেননি। সেই অবসর নিয়ে রীতিমতো একটা রহস্যের জন্ম হয়েছিল।তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে এমন কোনো নাটকীয়তার আশ্রয় নেননি মাহমুদউল্লাহ। আনুষ্ঠানিকভাবেই বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। দিল্লির অরুণ জেবলি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, তিন ম্যাচের এই সিরিজ শেষেই তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেবেন।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখনই ছাড়ছেন না অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলে যেতে চান। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে খেললে বাংলাদেশের পক্ষে মাহমুদউল্লাহ শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে আগামী ১২ অক্টোবর। সেদিন হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৩৯৫, গড় ২৩.৪৮।
বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও মাহমুদউল্লাহর। ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে টস করতে নেমেছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে জয় পেয়েছেন ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে, হার ২৬টিতে।