নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

বন্দর ১নং খেয়াঘাট এলাকায় পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী খান মাসুদের অনুগামীরা আওয়ামীলীগের লোকজন অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মহানগর যুবদল ও বন্দর থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং নাসিকের ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির ১নং সদস্য মোঃ কাজী সোহাগ। তিনি বলেন, এসব সন্ত্রাসীরা বর্তমানে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। আমরা চাঁদাবাজিতে বাধা দেয়ায় তারা আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি শ্রমিকদের মতামত নিয়ে বন্দর সিএনজি ও অটোরিকশা শ্রমিক কমিটির সভাপতি হয়েছি। অন্তত ৩০০ জন অটোরিকশা চালক আমাকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে লিখিত দিয়েছে। আমি সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে দোকানপাটে চাঁদাবাজির বিরোধীতা করা ওইসব সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। কিছু কুচক্রী মহল এদেরকে মদদ দিচ্ছে। কিছু বিএনপি নামধারীরা আওয়ামীলীগের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমি বিষয়টি মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর শাহেনশাহ ও মহানগর যুবদলের নেতা মাজাহারুল ইসলাম জোসেফ ভাইকে জানিয়েছি। আমরা বিগত ১৭ বছর আওয়ামীলীগের অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছি। অনেকবার জেল জুলুম খেটেছি। অথচ সুবিধাভোগীরা এখনো নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। যদি বিএনপি এ ধরনের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যে উদ্দেশ্য সেটা ব্যর্থ হবে। যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা দলের কেউ না। তারা বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তারা প্রশাসনের কাছে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে যে আমি নাকি লোকজন নিয়ে বন্দর ঘাটে হামলা চালাতে যাচ্ছি। অথচ আওয়ামীলীগের ওইসব সন্ত্রাসীরা বন্দর ঘাটে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি নূর আলম খন্দকার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী নওশাদ তুষার, ২৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ ফারুক, সিএনজি ও অটোরিকশা চালক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী আব্দুর রশিদ, সহ সভাপতি মোঃ শাহীন, স্থানীয় যুবদল নেতা আশরাফ, আকাশ, শুভ, কাউছার, লিটন, ওমর, ইলিয়াছ প্রমুখ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version