পেজার-সহ (যোগাযোগের তারহীন যন্ত্র ) যে অন্যান্য যন্ত্র ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে হেজবুল্লাহ সদস্যরা ‘তাৎপর্যপূর্ণভাবে’ সেগুলোকেই পরিণত করা হয়েছে বিস্ফোরক ডিভাইসে। ইসরায়েলের অত্যাধুনিক নজরদারি এড়িয়ে যোগাযোগের জন্য এই যন্ত্রই ব্যবহার করেন হেজবুল্লাহর সদস্যরা।

সেই যন্ত্রই ব্যবহারকারীদের হাতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লেবাননে হত্যা করা হয়েছে বহু মানুষকে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। লেবাননের সরকার ইসরায়েলকে এই আক্রমণের জন্য দায়ী করেছে। লেবানন এই ঘটনাকে ‘ইসরায়েলের অপরাধমূলক আগ্রাসনের’ আখ্যা দিলেও হেজবুল্লাহর পাল্টা দাবি এই হামলা ‘ন্যায্য প্রতিশোধ’।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে লেবাননের ঘটনা সম্পর্কে এখনও কোনও মন্তব্য আসেনি। কিছু ইসরায়েলি গণমাধ্যমে অবশ্য বলা হয়েছে মন্ত্রিসভার তরফে সে দেশের মন্ত্রীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে তারা যাতে ওই ঘটনা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য না করেন।

ইসরায়েল কিন্তু হেজবুল্লাহের সমস্ত গতিবিধির উপর নজর রাখে। যা ইঙ্গিত দেয় যে এই অভিযান দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের অংশ হতে পারে।

Share.
Leave A Reply