সুদানের এল-ফাশার শহরের একটি বাজারে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছে। একটি মেডিক্যাল সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ছাড়া অ্যাক্টিভিস্টরা আলাদাভাবে জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাজারে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) গোলাবর্ষণে অনেক মানুষ আহত হয়েছে। অন্যদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে এল-ফাশার টিচিং হাসপাতালের একটি সূত্র বলেছে, ‘আমরা গত রাতে হাসপাতালে ১৮ জনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
’ নিহতদের মধ্যে কেউ কেউ আগুনে পুড়ে এবং অন্যরা গুরুতর আঘাতে মারা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আফ্রিকার দেশটিতে ১৭ মাস ধরে চলা যুদ্ধে এখন উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী নিয়ন্ত্রণের জন্য আধাসামরিক বাহিনী ও নিয়মিত সেনাবাহিনী লড়াই করছে। সুদানের দুর্দশা, বিশেষ করে এল-ফাশার সম্পর্কে এই সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদেও আলোচনা করা হয়েছে। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বুধবার বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে এল-ফাশার, খার্তুম ও অন্যান্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মানবিক বিরতি গ্রহণ করতে বাধ্য করতে হবে।
এদিকে স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটি শুক্রবার জানিয়েছে, আবাসিক এলাকা ও বাজারে আধাসামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণ এদিন সকালেও অব্যাহত রয়েছে।
সুদানের যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কমপক্ষে এ সংখ্যা ২০ হাজার বলে উল্লেখ করেছে। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম পেরিলো বলেছেন, এ সংখ্যা দেড় লাখ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
এএফপি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এল-ফাশারে হামলার বিষয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি মঙ্গলবার সব দেশকে সুদানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেন, ‘বিশ্বকে জেনারেলদের অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে।’