মেহেদীর রঙ না মুছতেই লাশ হলেন সুমী আক্তার (১৮) নামের এক নববধূ। রহস্যজনক কারণে বাবার বাড়িতে গলায় রশি বেঁধে গোসলখানায় আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরপুরের শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের চকবন্দ্বী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুমী আক্তার ওই গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে।

সুমীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবে গত ৩০ আগস্ট পার্শ্ববর্তী ভারারচর গ্রামের মোহাস্মদ আলীর ছেলে আল আমিনের সঙ্গে সুমী আক্তারের বিয়ে হয়।  আল আমিন ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। বিয়ের পর ১২ দিন স্বামীর বাড়িতে ছিল সুমী। পরে বাবার বাড়িতে আসেন সুমী।সুমীর পরিবার জানায়, আজ শুক্রবার তার স্বামী আল আমিন ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসছেন। এদিকে রহস্যজনক কারণে সুমী বাবার বাড়িতে আত্মহত্যা করে। পরে বাড়ির লোকজন তাকে গোসলখানায় আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃত সুমীর লাশ উদ্ধার করে।

সুমীর বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়ের পর থেকে সুমী মানসিকভাবে কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করতো। আজ জামাই আসার কথা। কিন্তু সে কেন আত্মহত্যা করেছে-তা বুঝতে পারছি না। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।  এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলার প্রক্রিয়া ও তদন্ত চলছে।

Share.
Leave A Reply