ছাত্র আন্দোলনে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ ১৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২ অক্টোবর) মামলার প্যানেল আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান রোকন এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামিরা হলেন রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান মণ্ডল, এসআই বিভূতি ভূষণ, তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেরোবি ছাত্রলীগ সভাপতি পামেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, বাবুল হোসেন ও বেরোবি কর্মকর্তা রাফিউর হাসান।
মামলার প্যানেল আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান রোকন বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত আবু সাঈদের মাথায় আঘাতের চিহ্ন সুস্পষ্ট। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির ক্ষত। এটি হত্যাকাণ্ড। এর সঙ্গে জড়িতদের কেউ ছাড়া পাবে না।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই রংপুর পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, আসামিদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা তদন্তেরই একটি অংশ। আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। সরকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারে অনুমতির প্রয়োজন। সেজন্য বিজ্ঞ আদালতকে এসব বিষয়ে জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট নিহতের বড় ভাই রমজান আলী মহানগর তাজহাট আমলি আদালতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।